নিজস্ব প্রতিনিধি।।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় একটি সাম্প্রতিক ঘটনায় ছাত্রলীগের এক কর্মীকে ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এই ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় তুলেছে এবং বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কিছু বিশ্লেষক বলছেন, এটি রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে যোগসাজশ বা সুবিধাবাদী রাজনীতির উদাহরণ হতে পারে। অন্যদিকে, কিছু মানুষ এটিকে ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন যেখানে একজন ব্যক্তি তার রাজনৈতিক মতাদর্শ পরিবর্তন করতে পারেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দলীয় আনুগত্য এবং আদর্শের গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন পদক্ষেপ ভবিষ্যতে কী প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক। অভিযোগ করা হয়েছে, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব উভয়েই অতীতে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন এবং ২০১৭ সালে তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা গোকুল ঘোষের সঙ্গে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। আরও অভিযোগ, আহ্বায়ক তপু দাড়িয়া বিবাহিত ও অছাত্র, আর সদস্য সচিব বাঁধন নিজামী ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি বিদেশে অবস্থান করে আওয়ামী লীগের মেয়র জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
দুই শাখারই নেতাকর্মীরা দাবি জানিয়েছেন, বিতর্কিত নেতৃত্ব দিয়ে কমিটি গঠন করলে তৃণমূলের মনোবল ভেঙে যায়। তারা অনতিবিলম্বে উভয় কমিটি বাতিল করে প্রকৃত ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।