নিজস্ব প্রতিনিধি।।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একটি অনলাইন পত্রিকার লোগো ও প্রেস লেখা স্টিকার ব্যবহার করে ইয়াবা পাচার করছে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর টহল দল অভিযান চালাচ্ছে।
বিগত কয়েকদিন যাবত চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে আসছে এই ভুয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পুলিশ জানায়, এই ব্যক্তিরা কখনো নিজেদের বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনের সহ একাধিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চলাফেরা করছেন মোটরসাইকেলের স্টিকার লাগিয়ে ঘোরাফেরা করছে এবং
ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে এবং এদের প্রতারণার কথা আমাদের কানেও আসে। বেয়ে নামধারী এসব সাংবাদিকের কারণে যাতে পেশাদার সাংবাদিকদের কোনো ক্ষতি বা বদনাম না হয়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। এরই মধ্যে
গোপালগঞ্জ জেলা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় আমাদের কাজ শুরু করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি কর্মশালার ব্যবস্থা করা হবে। শিগগিরই গোপালগঞ্জ সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভুয়া ও অপসাংবাদিকতা রুখতে কিছু কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই আরও বড় পরিসরে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে পারব।
অভিযোগ রয়েছে, সাংবাদিক পরিচয়ে চক্রগুলো ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি দখল, দোকানপাট দখল, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়ছে। চক্রে নারী সদস্যও থাকেন। এরা মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে ‘প্রেস’ কিংবা ‘সংবাদপত্র’ লিখে পুলিশের সামনে দিয়েই নির্বিঘ্নে দাবড়ে বেড়ায়। এদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহনও থাকে চোরাই এবং সম্পূর্ণ কাগজপত্রবিহীন।
গোপালগঞ্জ জেলা ও এর আশপাশ এলাকায় ভুয়া সাংবাদিকদের সবচেয়ে বেশি দৌরাত্ম্য। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ জেলার আশপাশ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কথিত সাংবাদিকেরা নানা সিন্ডিকেটে বিভক্ত হয়ে অভিনব সব কৌশলে প্রতারণা চালিয়ে আসছে। প্রতিটি সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকেই তথাকথিত ‘অনলাইন নিউজ পোর্টাল’ তৈরি করে তার আওতায় নিজেদের আইডি কার্ডও বানিয়ে নেয় তারা। গণ্ডমূর্খ একেকজন রাতারাতি চিফ রিপোর্টার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, নিউজ এডিটর, এডিটর পদবি ধারণ করে রংবেরঙের ভিজিটিং কার্ড বিলিয়ে বেড়ান, যত্রতত্র গড়ে তোলেন প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি ইত্যাদি নামের ভুঁইফোঁড় সংগঠন। এসব সংগঠনের ব্যানারেও চলে নানা অজুহাতের চাঁদাবাজি।
গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) জানিয়েছে, বেশ কিছু অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, অসংখ্য অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালে কিছু স্বল্পশিক্ষিত লোক ‘সাংবাদিক’ সেজে মোটরসাইকেলে ‘প্রেস’ ও ‘সাংবাদিক’ লিখে বোকা বানাচ্ছেন বিভিন্ন মহলকে। গোপালগঞ্জ থেকে বেশির ভাগ অনলাইন পোর্টাল ও দৈনিক পত্রিকা নামমাত্র সংখ্যায় মাঝেমধ্যে প্রকাশ করা হয়। কোনো বেতনক্রম নেই তাদের। একটি পরিচয়পত্র দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এমন ‘পরিচয়পত্রধারী সাংবাদিকদের’ সঙ্গে অপরাধ জগতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতার সুযোগে যে কেউ ঘরে বসে একটি সংবাদমাধ্যম খুলে বসার সুযোগ পাচ্ছে। অল্প খরচে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু করে যে কেউ অললাইন মিডিয়ার ‘মালিক’, ‘সম্পাদক’, ‘সাংবাদিক’, ‘রিপোর্টার’ বলে যাচ্ছে। ভুয়া সাংবাদিকদের সাধারণ মানুষ সহজে চিহ্নিত করতে পারে না। এমনকি পেশাদার সাংবাদিকেরাও মাঝেমধ্যে বিভ্রান্ত হন।
অপসাংবাদিকতা করতে দেওয়া হবে না। অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলো একসঙ্গে দুটো অপরাধ করছে, এক হচ্ছে সরকারের অনুমোদন না নিয়ে নিউজ পোর্টাল চালাচ্ছে। আর দ্বিতীয়তটি সাংবাদিকতার নামে মানুষকে হয়রানি করছে। এটা সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। তাই অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে দ্রতই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
, একশ্রেণির নামসর্বস্ব পত্রিকার সম্পাদকেরা ভুয়া সাংবাদিকদের দিয়ে সিন্ডিকেট করে ব্ল্যাকমেইলিং করে থাকেন। তাদের কারণে পেশাদার সাংবাদিকদের সম্মানহানি হচ্ছে। এই চক্রগুলো প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি এদের যেখানেই পাওয়া যাবে, ধরে আইনের হাতে
সোপর্দ করতে হবে।