নিজস্ব প্রতিনিধি ।।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২নং বণি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সামাদ মুন্সিকে রাষ্ট্রদ্রোহ, বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার ও প্রতারণাসহ একাধিক ফৌজদারি মামলায় টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, মোঃ সামাদ মুন্সি (পিতা: মৃত আবদুস সবের মুন্সি, গ্রাম: বর্ণি দক্ষিণ পাড়া, থানা: টুঙ্গিপাড়া, জেলা: গোপালগঞ্জ) এর বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কদমতলী এলাকায় সি.আর মামলা নং — /২০২৫ (কদমতলী)-এর ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়। মামলায় বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৯/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৪২৭/৪৩৫/৪৩৬/২০১/১০৯/৩৪ ধারাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ও ৪ ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে।
মামলাটি বর্তমানে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা-তে বিচারাধীন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ তাকে টুংগীপাড়া উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে।
এছাড়াও স্থানীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ভি.ডব্লিউ.বি কার্ড (শিশু কার্ড) বিতরণের নামে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, সামাদ মুন্সি হতদরিদ্র মানুষের কাছে কার্ড দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জনপ্রতি ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা করে আদায় করেছেন। এ নিয়ে ইউনিয়নজুড়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে টুঙ্গিপাড়া থানার পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাতেও তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় আরেকটি মামলা হয়।
গ্রেফতারকৃত সামাদ মুন্সি বর্ণি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদেও রয়েছেন।
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, “আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।