1. live@dainikshiromoni.online : দৈনিক শিরোমনি : দৈনিক শিরোমনি
  2. info@www.dainikshiromoni.online : দৈনিক শিরোমনি :
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার পর আত্মহত্যা: গোপালগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। আরমান হত্যার বিচার চায় আরমানের খুনিদের ফাঁসি চাই টুংগীপাড়া সাংবাদিক পুত্র আরমান হত্যার আসামি কুখ্যাত খুনি সন্ত্রাসী ধর্ষণকারী মিতুল ও সাইফুলের ফাঁসি চাই। গোপালগঞ্জের শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে গুরুচাঁদ মতুয়া মিশনের সভা ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত। গোপালগঞ্জে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আটক অর্ধশতাধিক। ঐতিহ্যবাহী গোপালগঞ্জ জেলাধীন মুকসুদপুর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় উদ্বোধন। টুংগীপাড়া প্যাথলজির স্বত্বাধিকারী আজাদ শেখ এর উপর নিঃসংশ হামলা । গোপালগঞ্জে রেলের লিজের জায়গা জোর দখল চেষ্টা ও ভাঙচুর। টুঙ্গিপাড়ায় ইভটিজিং কেন্দ্রিক সংঘর্ষকে রাজনৈতিক প্লাটফর্মে আনতে যুবদলের সংবাদ সম্মেলন। কোটালীপাড়ায় চিকিৎসককে মারধর, আটক ১। বেনাপোলে গ্রেফতার গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জি. এম. শাহাবুদ্দিন আজম।

স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার পর আত্মহত্যা: গোপালগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমির আলীর ছেলে শাহিন শেখ (২৩) স্ত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় ৬ মাস জেল খাটার পর জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

শাহিনের মা খুসিয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে ও পাটগাতি গ্রামের শপন মুন্সীর মেয়ে মীমের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। মীমকে তার মা-বাবার কাছে ফেরত পাঠানোর অনেক চেষ্টা করলেও সে যেতে রাজি হয়নি। পরে পুলিশ এসে মীমকে নিয়ে যায়।

তবে ৩ দিন পর মীম পুনরায় শাহিনের বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত থেকে তাদের বিবাহ রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করা হয়। প্রায় তিন মাস সংসার করার পর হঠাৎ মীমের মা নিপা বেগম মেয়েকে নিয়ে যান এবং কয়েক দিন পর গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শাহিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

খুসিয়ারা বেগম বলেন, “মামলায় শাহিনকে জেল দেয়া হয় এবং টানা ৬ মাস জামিন না পেয়ে জেলে কাটাতে হয়। পরে আমি মীমের মা-বাবার সঙ্গে মামলা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করলে তারা আইনজীবীর মাধ্যমে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। দর কষাকষির পর ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকায় মামলা তুলে নেওয়ার কথা হয়। আমি ওই টাকা আইনজীবী হাবিবুর রহমানের হাতে তুলে দিই, কিন্তু মামলা তোলা হয়নি।”

২০ দিন পর জামিনে মুক্ত হয়ে শাহিন বাড়ি ফিরে আসে। এর কিছুদিন পর মীম তাকে ফোন করে জানায়, “আমার মা তোমার সঙ্গে আমাকে থাকতে দেবে না, অন্য জায়গায় আমার বিয়ে ঠিক করেছে।” এই কথা শুনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া শাহিন আত্মহত্যা করে।

মৃত্যুর আগে একটি সাদা কাগজে লিখে যায়:

“আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী মীম ও তার মা নিপা বেগম। তাদের জন্য আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম।”

খুসিয়ারা বেগম বলেন, “আমি গরিব মানুষ, কারও কাছে বিচার পাইনি। ছেলের মৃত্যুর তিন দিনের মাথায় মীমের আবার বিয়ে দেয় তার মা। যদি মীম অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়, তবে কীভাবে এত দ্রুত আবার বিয়ে হয়? জাতির কাছে আমার প্রশ্ন রইলো।”

তিনি আরও বলেন, “১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা দিয়েও আমার ছেলের জীবন বাঁচাতে পারলাম না। আমি চাই, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক এবং মীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে আর কোনো মা তার সন্তানকে এভাবে হারাতে না হয়।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট