গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
মঙ্গলবার ১০ ই জুলাই সকল আনুমানিক ১১টার সময় গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ভাদুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঐ এলাকার পৈতৃক ভিটায় বিশ্বেশ্বর বিশ্বাস আরসিসিজি প্রতিষ্ঠানের একটি গির্জার সম্মুক্ষ্যে রেল অধিগ্রহণকৃত জায়গা গির্জার নামে ডিসিআর করে দেয় সরকার। গির্জার ঐ জায়গা জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। গির্জার দেখভাল করা গোলোরীয়া বিশ্বাসের ছেলে বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা করে এতে সে গুরুতর আহত হন। এসময় সন্ত্রাসীরা ব্যাপক ভাঙচুর করে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে গির্জার দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা গোলোরীয়া বিশ্বাস বলেন, আমরা কয়েকটি খ্রিস্টিয়ান পরিবার বহু বছর এখানে বসবাস করে আসছি। আমাদের চার্চের সামনে রেল অধিগ্রহণকৃত জায়গা ধর্মীয় কাজে ব্যবহারের উদ্দেশে সরকার আমাদের ডিসিআর প্রদান করেন। আমাদের গির্জার নামে অধিগ্রহণকৃত জায়গা বার বার জের পূর্বক দখল করার জন্য ওরা আসে। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১১টায় সন্ত্রাসীর লিটু শেখ ও শের আলি শেখ সহ ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বসতবাড়ির উপরে হামলা চালায় এবং আমাকে খুন করার হুমকি দেয়। আমার ছোট ছেলে তাদের হুমকির উদ্দেশ্য জিজ্ঞাসা ও বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা আমার ছেলের উপর হামলা চালায় । এতে আমার ছেলে গুরুতর আহত হন। সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে মেরে ক্ষ্যান্ত হয় নাই, ওরা ব্যাপক ভাঙচুর ও করে।
কোনো উপায় না দেখে জরুরি সেবা লাইলে ফোন করি।পুলিশ এসে তাদেরকে বাঁধা প্রদান করে এবং আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য কাশিয়ানি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যপারে গোলোরীয়া বিশ্বাসের বড় ছেলে শিমন বিশ্বাস বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় ৫ জনকে অভিযুক্ত ও অজ্ঞাত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে পাওয়া অভিযুক্তরা হলেন, শের আলী শেখ, মৃত অমূল্য কুমার বিশ্বাসসের ছেলে নিতাই চন্দ্র বিশ্বাস, মৃত শামছুল হকের ছেলে নাসির শেখ, মৃত সামছুল হকের ছেলে গফ্ফার শেখ ও লিটু শেখ ।
অভিযোগে আরো উল্লেখ্য আছে, আমার বসত বাড়ীটি একটি খ্রিষ্টান পরিবার এবং আমার বসতবাড়ীর সাথে একটি গির্জা ঘর আছে। অভিযুক্তদের সহিত আমার জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ আছে। বিবাদীগন বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বরাদ্দকৃত জমি জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় পরস্পর যোগসাজসে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহকারে আমাদের বসতবাড়িতে প্রবেশ করে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি ও আমার ছোট ভাই রিপন বিশ্বাস বিবাদীদের গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলে সকল বিবাদীগন একত্রে আমার ছোট ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুসি লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা আমাদের জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এর আগেও এরূপ ঘটনা সন্ত্রাসীরা ঘটিয়েছে।পূর্বে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণকে এ বিষয়টি অবগত করলে তারা সুষ্ঠ সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পরেও সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর আক্রমণ করেছে। আমরা ও আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যপারে প্রশাসনের নজরদারী একান্ত কামনা করছি।