নিজস্ব প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় সোহেল হাওলাদার নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক সোহেল উপজেলার ফেরধরা গ্রামের আজিজ হাওলাদারের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১০ জুন ২০২৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
জানা যায়, গত ২৯ মে সোহেল হাওলাদার তার অসুস্থ গর্ভবতী স্ত্রী ছাদিয়া খানমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসকের অনুপস্থিতির কারণে ডেলিভারিতে বিলম্ব হয়। পরবর্তীতে ছাদিয়া খানম মৃত সন্তান প্রসব করেন। এ ঘটনায় চিকিৎসকের বিলম্বকে দায়ী করে সোহেল মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. অনুপম বাড়ৈ লিটুকে জরুরি বিভাগের রুমে আটকে মারধর করেন। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সোহেলকে আটক করে।
ডা. অনুপম বাড়ৈ লিটু বলেন, “আমি জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলাম। হঠাৎ একজন এসে রুমের দরজা বন্ধ করে আমাকে মারধর শুরু করে। আমার স্টাফরা দরজা ভেঙে আমাকে উদ্ধার করে। শুনেছি, সোহেলের স্ত্রীর চিকিৎসার সময় বাচ্চা মারা যায়। তবে আমি এই রোগীকে চিনি না, চিকিৎসাও করিনি। আল্ট্রাসনোগ্রামে দেখা গেছে, হাসপাতালে আনার চার দিন আগেই বাচ্চা মারা গিয়েছিল।”
সোহেলের স্ত্রী ছাদিয়া খানম বলেন, “হাসপাতালে গিয়ে কোনো চিকিৎসক পাইনি। ডাক্তারের দেরির কারণে আমার বাচ্চা মারা গেছে। এজন্য আমার স্বামী ডাক্তারকে মারধর করতে পারেন।
”উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কুমার মৃদুল দাস বলেন, “একজন ব্যক্তি জরুরি বিভাগে ডা. অনুপমকে মারধর করেন। পুলিশ তাকে আটক করেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।”
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, “ডা. অনুপমকে মারধরের ঘটনায় সোহেল হাওলাদারকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।”