কোটালীপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা নিয়ে সালিশ বৈঠকের সময় মারপিটের ঘটনায় নারীসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (৮ জুন, ২০২৫) বিকেলে
জানা গেছে, গত ৬ জুন (শুক্রবার) রাতে শুয়াগ্রামের এক গৃহবধূর বাড়িতে তার স্বামী অনুপস্থিত থাকার সুযোগে একই গ্রামের খগেন্দ্রনাথ মধুর ছেলে রিপন মধু ও সুরাত আলী বিশ্বাসের ছেলে রাজিবুল বিশ্বাস মুখোশ পরে বেড়া কেটে ঘরে প্রবেশ করে। তারা গৃহবধূকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ওড়না দিয়ে হাত-পা বাঁধে। এ সময় গৃহবধূর সঙ্গে হাতাহাতির একপর্যায়ে রিপন মধুর মুখোশ খুলে যায়। গৃহবধূ তাদের চিনে ফেলায় তারা পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে রোববার সন্ধ্যায় শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস তাদের সঙ্গীদের নিয়ে গৃহবধূর পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে আবু বক্কর শেখ (২৮), ওসমান শেখ (২৫), আলী শেখ (২২), হাসিব শেখ (২১) ও লাকি খানম (২৩) গুরুতর আহত হন।
ওই গৃহবধূ বলেন, “৬ জুন রাতে আমার স্বামী চাকরির কারণে বাইরে ছিলেন। আমি ঘরে একা ঘুমাচ্ছিলাম। রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস মুখোশ পরে বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে আমাকে চেপে ধরে হাত-পা বাঁধে। আমি লাথি মারলে রিপনের মুখোশ খুলে যায়। তাদের চিনে ফেলায় তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকায় জানানোর পর সালিশ বৈঠকে তারা আমাদের লোকজনকে মারধর করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
”মারপিটের ঘটনার পর রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস পলাতক রয়েছেন, এবং তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সালিশকারক রনজিত মধু, আলমগীর হাজরা, সালাম মেম্বর ও লোকমান হোসেন জানান, সালিশ বৈঠকে রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস তাদের লোকজন নিয়ে উপস্থিত কয়েকজনকে মারধর করে। এরপর তারা বৈঠক ছেড়ে চলে যান।
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”