টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙ্গা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দুটি টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে শিক্ষার্থী শিক্ষালাভ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু খুবই দুঃখের বিষয় শিক্ষকদের চলছে প্রাইভেট পড়ানোর রমরমা বানিজ্য এte করে শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে। এখানে কারো কিছু বলার নেই কারণ আমার আপনার সন্তানেরা এই দুই বিদ্যালয়েই লেখাপড়া করে। কিছু বললেই সমস্যা।
গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে এর আগেও সংবাদ প্রকাশ হয়েছে কিন্তু কয়েকদিন ভালো থাকে পরে আবার যা না তা হয়ে যায়। বর্তমানে যুক্ত হলো বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর সদ্য যোগদান করা কয়েজন শিক্ষকের নাম।
নাম না উল্লেখ করা শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান তাদের কাছে পড়লে তাদের পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়। শুধু তাই নয় পরীক্ষার আগে সকল বিষয়ের প্রশ্ন পাওয়া যায়। আর যারা তাদের কাছে পড়ে না তাদের ক্লাসেও তেমন খেয়াল করেনা। সেইসব শিক্ষক যদি আমার নাম জানতে পারে তাহলে আমার বিভিন্ন ভাবে সমস্যা হবে।
বিদ্যালয়ের হাফ ইয়ারলি এবং বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে এর আগেও জানা গেছে যে, যারা তাদের কাছে প্রাইভেট পড়ে তা সকলেই পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পেয়ে যায়।
যেখানে শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর সেখানে চলছে শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা। গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শাহিদুল ইসলাম যিনি শুধু প্রাইভেট নয় টাকার বিনিময়ে আরো অনেক কাজ করে থাকেন।
এমনটিও জানাগেছে যে, নাম সংশোধনের আবেদন এর কাজ কারার জন্য তিনি ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। যেখানে বোর্ডে নাম সংশোধন এক জনের একটি সংশোধন করতে বোর্ডে ব্যাংকের মাধ্যমে ফি নেয় ৫৫৮ টাকা এখানেও হয়রানি হয় শিক্ষার্থী। শুধু তাই নয় তার কাছে প্রাইভেট পড়ার কারনে একজ মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থী যার পরীক্ষা হয় খারাপ আর কম মেধার শিক্ষার্থী হয় ১ম থেকে ৭ম। এই সব দেখে আমরাও আমাদের সন্তানদের তাদের কাছে পাড়ানোর জন্য পাঠাই। অপর সহকারি শিক্ষক মো: জাকির হোসেনেরও একই অবস্থা। তিনি টুঙ্গিপাড়া আসার পর থেকে সোনার হাঁসের ডিম পেয়ে গেছেন।
গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অপর সহকারী শিক্ষক পুলক ঢালি তিনি ভাড়া বাসায় বিজ্ঞান বিভাগের প্রাইভেটগুলো পড়ান।
সহকারী শিক্ষক মোঃ শাহিদুল ইসলাম, এবং মোঃ জাকির হাসান স্যার এই দুজনেই এর গোড়া পত্তন শুরু করেন। যেখানে সরকারি ভাবে সম্পূর্ণ ভাবে নিষেধ আছে কোন বিদ্যালয়ে শিক্ষকেরা কোন রকম কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেনা সেখানে তারা প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করছেন।
অপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিল্টন মন্ডল, সহকারি শিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক এনজামামুল হক, সহকারী শিক্ষক পারভিন আক্তার, সহকারী শিক্ষক তারা সবাই নিজ বাসাতেই খুলে নিয়েছেন কোচিং সেন্টার।
গতবছর মিল্টন মন্ডল বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়ানোর সময় সাংবাদিকদের হাতে ধরা পড়েন। আর এই প্রাইভেট পড়ানোর কারনে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সরকার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ডিসেম্বর মাসের বার্ষিক পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁস হবার খবর ও পওয়া গেছে।
এতে করেও থেমে থাকার কোন নাম নেই বরং আরো জোরালো ভাবে শুরু করেছে তাদের প্রাইভেট পড়ানো।
এই ভাবে যদি চলতে থাকে তবে কিভাবে একজন শিক্ষার্থ শ্রেণিতে ভালো কিছু শিখতে পারবে আর যখন দেখবে একজন সব প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে তখন আর সাবাই একই পথে হাটার চেষ্টা করবে। শ্রেণি পরীক্ষায় একইভাবে পার হলেও এস এস সি পরীক্ষায় কি করবে তারা? নাকি ঐ সকল শিক্ষক তাদের পার করার ব্যবস্থা করবে।
এলাকার সকলের প্রশাসনের কাছে একটি দাবি করেন যে, ক্লাসে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য।