শেখ নজরুল ইসলাম সাভার প্রতিনিধিঃ
লোকাল লেনে চলে না’ লোকাল বাস। যত্রতত্র সিএনজি অটো রিক্সার দৌরাত্ব’-যেন সাভার বাসস্টান্ডের প্রতি মূহুর্তের চিত্র। সাভার রেডিও কোলনী স্টান্ড থেকে শহীদ ইয়ামিন চত্বর(পাকিজা মোড) হইতে আবার সাভার উপজেলা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে উচু দেয়াল দিয়ে আটকানো বিধায় যাত্রীগণ প্রতিনিয়ত পড়েন মহা বিপাকে। বাস ড্রাইভারগণ হাইওয়ে রোড়ের মাঝখানে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করেন। এতে সিআরপি, নিউমার্কেট, রাজাসন রোড/অন্ধ বা চৌরঙ্গী মার্কেট, নামাবাজার, থানাস্টান্ড/এনাম মেডিকেল এবং সাভার উপজেলাগামী যাত্রীগণ রাস্তার উচু দেয়াল পাড়ি দিয়ে গন্তব্য পৌছাতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন প্রতিনিয়ত। আজ ১৮ মে রোজ রবিবার বেলা ১১টায় সাভার নিউ মার্কেটের সামনে অপেক্ষা করে মাত্র ১০মিনিটে ছবিতে প্রদর্শিত যাত্রীদের এমন অসখ্য দুর্ভোগের চিত্র চোখে পড়ে। ধামরাই থেকে নিউমার্কেটে শপিং করার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছেন রহিম বাদশা। কিন্তু বাস ড্রাইভার তাদেরকে রাস্তার মাঝখানে নামিয়ে দেয়ায় তিনি পড়েছেন মহা বিপদে। ছোট শিশু বাচ্চা, মেয়ে মানুষ নিয়ে তিনি কিভাবে এই দেয়াল পাড়ি দিবেন’ এ নিয়ে তিনি ক্ষোভ ও অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন। গতকাল রাত্র ৯টা থেকে ৯.৩০ পর্যন্ত সেনা মার্কেটের সামনে অপেক্ষা করেও সাভারগামী কোন বাস’ লোকাল রোডে যেতে রাজি হয় নাই। ঠিক দুই দিন পূর্বে লোকাল রোডে যাতায়াত কারী বৈশাখী পরিবহনের ড্রাইভার আব্দুর রহীম অভিযোগ করে বলেন, ”লোকাল রোডে যত্রতত্র সিএনজি অটোরিক্সা, অবৈধ হকার, রাস্তায় কাঁচাবাজার বসায়’ সাভার স্টান্ডে অযাচিত যানজট লেগেই থাকে, তাই বাস ড্রাইভারগণ লোকাল রোডে যেতে চায় না।”
এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ঝুকিতে পড়েন স্কুল কলেজগামী শিক্ষাথী, শিশু নিয়ে আসা নারী যাত্রী ও সমাজের সিনিয়র সিটিজেনগণ। অনেকে লাফিয়ে বেরিকেড পাড়ি দিলেও রয়েছে জীবনের ঝুকি। কারণ হাইওয়ে রোডে প্রতিযোগীতায় থাকা ড্রাইভারগণ কাউকে ছাড় দেন না আর লাফিয়ে লোকাল রোডে পড়লেও মুড়ির টিন, অটো বা সিএনজি অটো রিক্সা কখন যে কোনটা কোনদিক থেকে আসে তার নিশ্চয়তা নাই। প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। এদিকে সাভার মডেল মসজিদ থেকে কোরেইশী মার্কেট পর্যন্ত গড়ে উঠেছে আন্ত জেলা বাস কাউন্টার। এসব বাসের যাত্রীদের উঠা-নামার ক্ষেত্রেও অনেক সময় হাইওয়ে রোড় ব্যবহার করা হয়। আবার এই বাস লোকাল রোডে ঢোকলেও বাড়ে অনাকাংখিত যানজট। এছাড়া এখানেই রয়েছে হাইয়েচ বা ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার স্টান্ড।
লোকাল বাসসমুহ তাদের যাত্রী নিয়ে লোকাল রোড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করাতে পারলেই এমন সমস্যার অনেকটাই সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞগণ । অথচ সাভার হাইওয়ে পুলিশ এ বিষয়ে বরাবরই নির্বিকার। সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ আবুবকর সরকারকে মোবাইলে না পেয়ে মেসেনজারে যোগাযোগ করেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই। বিষয়টির দ্রুত সমাধান প্রত্যাশা করেন ভোক্তভোগী সাধারণ মানুষ ও সাভারের সচেতন নাগরিক বৃন্দ।