নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরে বর্তমানে প্রায় ৪৬৪টি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে ১৯৮টির কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। এছাড়াও, নিবন্ধিত অনেক প্রতিষ্ঠানের ভবন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য অনুমোদিত নয়। এগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ইটিপি বা এসটিপি সুবিধা নেই, যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে। ২০২২ সালে তিন দিনে ৯৯টি অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় অভিযান চালিয়ে একটি অনুমোদনহীন হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও সিলগালা করা হয়েছে।
২০২৪ সালের জুনে হাইকোর্ট গাজীপুরের ২৬৬টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে, যেগুলোর ভবনে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নেই।
অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতালে প্রশিক্ষণহীন কর্মী দ্বারা অপারেশন ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে, যা রোগীদের জীবনকে বিপন্ন করছে। সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগী মারাত্মক জটিলতায় ভুগছেন। জনসাধারণকে অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতালের সেবা গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে সচেতন করতে হবে।
অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়মিত তদারকি ও অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের প্রশিক্ষণ ও মান উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।
গাজীপুরে অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।