নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সোমবার বিকেলে সাভারের বলিয়ারপুর এলাকায় একটি প্রাইভেটকার ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে প্রাইভেটকারের চালকসহ তিনজন নিহত হন। নিহতরা হলেন সাভারের নগরকুন্ডা এলাকার ইব্রাহিম, বলিয়ারপুরের সাবেক মেম্বার নাজিম উদ্দীন এবং একই এলাকার আব্দুল আলেকের ছেলে মজিবুর রহমান। মজিবুর রহমান নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আহত দুইজন হলেন শাহাবুদ্দিন ও আব্দুল জলিল। তাদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ ও ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাইভেটকারটি ঢাকামুখী লেন থেকে সাভারমুখী লেনে ইউটার্ন নেওয়ার সময় আরিচামুখী সি-লাইন পরিবহনের একটি দ্রুতগতির বাস প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়, ফলে সেটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় প্রাইভেটকারে থাকা পাঁচজনের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সাভার হাইওয়ে থানার ওসি সওগাতুল আলম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
সাভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ২মঙ্গলবার ভোরে সাভারের সালেহপুর এলাকায় সড়কে থেমে থাকা একটি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকের পেছনে দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দিলে দুজন নিহত হন। নিহতরা হলেন ঢাকা জেলার দোহার থানার ফেরদৌস আলমের স্ত্রী পুতুল বেগম এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার মিলন খাঁর ছেলে জামাল খাঁ। আহত তিনজনকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সাভার হাইওয়ে থানার ওসি সাজ্জাদ করিম খান জানান, দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে এবং নিহতদের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই দুটি দুর্ঘটনা মহাসড়কে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। দ্রুতগতির যানবাহন ও অসতর্ক চালনার ফলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে। নিয়মিত ট্রাফিক মনিটরিং ও চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।