ফারুক আহমেদ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
তাড়াশ সদর অংশের আঞ্চলিক সড়কটি সংস্কার হলেও সলঙ্গা সদর রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলার অংশের সলঙ্গা সদর হতে তাড়াশ ঝুরঝুরি আব্বাস আলীর বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ পর্যন্ত আঞ্চলিক প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কটি বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দকে ভরাপুর হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
গাড়িচালক ও যাত্রীরা বলছেন, বেহাল সড়ক। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। আমশড়া জোরপুকুর বাজার হতে থেকে সলঙ্গা সদরে যেতে ১৫ মিনিটের পথ। অথচ যেতে লাগছে প্রায় ১ ঘণ্টা। এ অবস্থায় সড়কটি সংস্কার ও চার লেন করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সলঙ্গা – ঝুুরঝুরি আব্বাস আলী বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে রয়েছে নানা সমস্যা। বিশেষ করে সলঙ্গা থেকে মৃত্যু আব্বাস আলীর বাড়ি সংলগ্ন পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রাস্তা একেবারে বেহাল। প্রায় কয়েক যুগ ধরে এলাগার রাস্তায় ছোট-বড় অনেক গর্ত। রাস্তার দুই পাশে জঙ্গল ও দুই পাশে ভেঙে খানাখন্দকের কারণে পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাতও নেই।
পরিবহন চালকরা জানান, বাস-ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন সড়কের গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঢালাই উঠে গেছে। পাথর ও সড়কগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যার ফলে গাড়ি ব্রেক করলে স্লিপ করে দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব কারণে যানবাহন চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়ে রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলার অংশের সলঙ্গা সদর হতে মৃত্যু আব্বাস আলীর বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের এই ৮ কিলোমিটার এলাকা।
দুর্ভোগের কথা জানিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আল-আমিন হোসেন বলেন, সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
গাড়ি চালানো যায় না, উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
এইচ, কে ট্রাভেল্সের চালক মাসুদ রানা জানান, নাটোর, গুলটা, বারুহাস, সিরাজগঞ্জ বগুড়া ও উল্লাপাড়াসহ অনেক পরিবহণ সলঙ্গা হতে তাড়াশের এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। তাই সড়কটিতে থাকে অনেক চাপ। তার মধ্যে গর্তের কারণে তৈরি হয়েছে দুর্ঘটনার বহু ফাঁদ।
বাসের চালক মাসুদ রানা আরো বলেন, ‘প্রতিদিন সলঙ্গা ও তাড়াশ সড়কে যাত্রী নিয়ে আসা-যাওয়া করে থাকি সলঙ্গা হতে আব্বাসের বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। গর্তে পড়ে গাড়ির স্প্রিং ভেঙে যায়, স্টেয়ারিংয়ের সঙ্গে যে জয়েন্ট থাকে সেটি ভেঙে যায়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় গাড়ি অনেক সময় খাদে পড়ে যায়। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা জরুরি।’
একই সড়কের পিকআপচালক কাওছার মাহমুদের অভিযোগ, সড়কের কাজ ভালোভাবে করেন না দায়িত্বশীলরা। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের সংস্কার কাজও হয় না। এখন বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের গর্ত হয়ে গেছে। খুব সতর্কভাবে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তার পরও ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে আসার আলো এই সড়কটির ইতিমধ্যেই মাপ ও জরিপের কাজ শুরু হওয়ায় আসার আলো দেখছেন এলাকার মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।