স্টাফ রিপোর্টার ঃ তানভীর আহমেদ সায়াদ
বিশেষ ভাব–গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত গোপালগঞ্জে হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ রাত পবিত্র শবে কদর। মসজিদে মসজিদে খতমে তারাবির নামাজ শেষে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মসজিদ ঘুরে দেখা যায়, এশার আজানের পর থেকেই অন্যান্য দিনের তুলনায় মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় বেশি। অনেক এলাকায় মসজিদে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। উপচে পড়া ভিড় ছিল মুসল্লিদের।
ইসলাম ধর্ম অনুসারে, এই রাতে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই মুসলমানদের কাছে এই রাত অতীব পুণ্যময় ও মহিমান্বিত। ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত শবেকদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত।
শবেকদরের এই রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এই রাতকে কেন্দ্র করে কোরআনে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও নাজিল হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, অন্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, কদরের রাতের ইবাদতে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।
এই রাত মুসলমানদের জন্য বিশেষ রাত। রোজার মাস থেকে শুরু করে পুরো জীবনের সব ভুল ত্রুটির জন্য মাফ চাইতে এই রাতকেই বেছে নেন মুসলমানরা।
শবে কদর শব্দটি মূলত বাংলা ভাষায় এসেছে ফারসি থেকে। আরবি শব্দ লাইলাতুল কদরের নানা মহিমা কোরআন এবং হাদিসে বর্ণিত আছে। শব বলতে মূলত রাত আর কদর বলতে ভাবমর্যাদাপূর্ণ বা সম্মানিত বোঝানো হয়। সে হিসাবে শবে কদর মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে ভাবমর্যাদাপূর্ণ রাত হিসেবে পালিত হয়।
মুসলমানদের জীবনে কদরের রাত আসে ক্ষমার বার্তা নিয়ে। “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল ‘আফওয়া ফা‘ফুআন্নি” এই দোয়ার মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। সব মিলিয়ে এই রাত রমজানকে করে তোলে আরও মহামান্বিত। পাশাপাশি এই রাতের শিক্ষা থেকে একজন মুসমান নতুন করে ভালো মানুষ হবার যাত্রা শুরু করতে পারে বলে মনে করেন আলেম–ওলামারা।